ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ওপর রকেট হামলায় একজন বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন।
গেল এক বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ইরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জোটের পরিচালিত সামরিক ঘাঁটিতে এই রকেট এসে পড়েছে।
স্বল্প-পরিচিত একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে। আর কয়েকজন ইরাকি কর্মকর্তারা বলেন, এতে ইরানের যোগশাজস রয়েছে।
এতে উপসাগরীয় দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যখন উত্তেজনা কিছুটা কমাতে চাচ্ছে, তখন উল্টো তা বেড়ে গেল।
মঙ্গলবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র বলেন, নিহত ঠিকাদার আমেরিকান নাগরিক না। ঘাঁটির ভেতরে ১০৭ এমএম রকেট এসে পড়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও ৯ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আটজনই বেসামরিক ঠিকাদার, আর একজন মার্কিন সেনা সদস্য।
কর্মকর্তারা হলেন, আহত মার্কিন সেনার কনকাশসন অর্থাৎ মস্তিষ্কে হালকা আঘাত লেগেছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, হামলার জন্য কারা দায়ী, তা নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। যাদের দায়ী বলে শনাক্ত করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রতিশোধের ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সময় ও সুযোগ মতো জবাব দেওয়ার অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাখেন। আমরা কারও ওপর দায় আরোপের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
‘তবে আমি আপনাদের এই বার্তা দিতে চাই যে, বাইডেন প্রশাসন কূটনীতির ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মুসরুর বারজানির সঙ্গেও যোগাযোগ করার কথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির সঙ্গেও ব্লিংকিনের আলাপ হয়েছে। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশ নিরাপদ ও স্থিতিশীল থাকবে, সেই অধিকার ইরাকিদের আছে। ইরাকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেষ্টাই ইরাকি অংশীদারদের প্রতি আমরা সহায়তায় প্রতিশ্রতিবদ্ধ।