স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সমর্থন দিয়েছে বৃহত্তর সিলেট পাথর খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনে পুলিশের নির্দেশনা প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবিতে সিলেট জেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও মালিকদের সংগঠনও গত সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছে।
দুই পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘট এবং কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও ধর্মঘটের কারণে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, জনসাধারণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের কৌশল নিয়েছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্ট নেতারা।
ধর্মঘটের কারণে যান চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গাড়ি না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে
ধর্মঘটের কারণে যান চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গাড়ি না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হুমায়ুন রশীদ চত্বরেআনিস মাহমুদ
সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সমর্থন দিয়েছে বৃহত্তর সিলেট পাথর খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনে পুলিশের নির্দেশনা প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবিতে সিলেট জেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও মালিকদের সংগঠনও গত সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছে।
দুই পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘট এবং কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও ধর্মঘটের কারণে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, জনসাধারণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের কৌশল নিয়েছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্ট নেতারা।
শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টা পরেও দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শাব্বীর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ
মঙ্গলবার সকালে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহনশ্রমিকেরা সিলেটের প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান করছেন। এ সময় সড়কে চলাচল করা যানবাহনগুলো আটকাতেও দেখা গেছে তাঁদের। নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকায় সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। রিকশা, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও অন্যান্য যানবাহন তেমন দেখা যায়নি।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ গত সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট চলবে। ধর্মঘটে সিলেট বিভাগের বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কোচ, লেগুনা, ট্যাংকলরি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী যাত্রী, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র ও জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়ি ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।
ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পাথর আহরণ, বিক্রয়, বিপণনসহ এই খাতসংশ্লিষ্ট সব অংশীদারকে নিয়ে গঠিত হয় বৃহত্তর সিলেট পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
পাথর কোয়ারিগুলো থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরণের অনুমতির দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। ৩ ডিসেম্বর সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়। এতে কোনো সাড়া না পেয়ে ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম দফায় ৯ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় পণ্যবাহী পরিবহনে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করা হয়। এ কর্মসূচি পালনের পরও দাবি আদায় না হওয়ায় সিলেট বিভাগে গণপরিবহনে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ জানান, পাথর কোয়ারির সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা। কোয়ারি বন্ধ থাকায় পরিবহন সেবার সঙ্গে জড়িত ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিকেরাও সংকটে পড়েছেন। অনেক পরিবহনমালিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যানবাহন কিনেছেন। সে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় মামলার আসামি হয়েছেন তাঁরা।
শাব্বীর আহমদ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টা পরেও দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।